প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে হাঁস বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কাটোয়ায়

14th February 2020 বর্ধমান
প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের পক্ষ থেকে হাঁস বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কাটোয়ায়


শুক্রবার কাটোয়া ২ নং ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের উদ্যোগে কৃষি বিভাগ ও কাটোয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহযোগিতায় আতমা  প্রকল্পে  শ্রীবাটি ও গাজীপুর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামের মোট  ২০ জন উপভোক্তাদের প্রত্যেককে ২০ টি করে মোট ৪০০ টি উন্নত মানের ৬ সপ্তাহ বয়সের অধিক ডিম উৎপাদনকারী উন্নত জাতের খাকী ক্যাম্পবেল ও ইন্ডিয়ান রানার হাঁসের বাচ্চা প্রদান করা হয় । এছাড়া বিজ্ঞান সম্মত ভাবে উন্নত মানের হাঁস পালনের লক্ষ্যে উপভোক্তাদের প্রশিক্ষণ এবং প্রত্যেক উপভোক্তাদের ১ বস্তা করে হাঁসের খাবার দেওয়া হয় । হাঁস গুলির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রত্যেক উপভোক্তাদের ভিটামিন জাতীয় ঔষধ প্রদান করা হয় । এই উপলক্ষ্যে দাঁইহাটে বিডিও অফিসে আয়োজিত বিতরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন কাটোয়া ২ ব্লক এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শমীক পাণিগ্রাহী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিষাদ সামন্ত, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মজুমদার, সহ সভাপতি জাগু প্রধান,  প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ডাঃ জয়কিংকর মান্না, ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা সুমনা মন্ডল, ব্লকের প্রাণী চিকিৎসক ডাঃ প্রশান্ত পাল, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ কোরবান মিদ্দা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের জন প্রতিনিধি ও দপ্তরের কর্মী বৃন্দ । বিডিও শমীক পাণিগ্রাহী বলেন , এধরনের উন্নত জাতের খাকী ক্যাম্পবেল ও ইন্ডিয়ান রানার হাঁস সঠিকভাবে ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ মতো পালন করলে উপভোক্তাদের নিজ নিজ পরিবারের ডিমের চাহিদা সহজেই মেটাতে পারবেন  এবং এই উপভোক্তাদের দেখে স্থানীয় অঞ্চলে আরো অনেকে উৎসাহিত হয়ে হাঁস পালনে এগিয়ে আসবেন । পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত মজুমদার  প্রাণী পালকদের অত্যন্ত নিষ্ঠা সহকারে কোনো প্রকার অবহেলা না করে দফতরের পরামর্শ মতো সকল প্রকার প্রাণী পালন করার আবেদন জানান । প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ডাঃ জয়কিংকর মান্না উপভোক্তাদের প্রাণী পালনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবস্থা ও পারস্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা গ্রহণে প্রাণী পালকদের সচেতন করেন । গ্রামের সাধারণ মানুষ এক সঙ্গে খাকী ক্যাম্পবেল বাচ্চা, হাঁসগুলির এক মাসের খাবার, ওষুধ, বিজ্ঞান সম্মত ভাবে হাঁস পালনের পুস্তিকা ও প্রশিক্ষণ পেয়ে খুব খুশী । সভাপতি নিষাদ সামন্ত প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরকে এ ধরণের জনমুখী কর্মসূচি সঠিকভাবে রূপায়ণের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

     ছবি -রক্তিম চক্রবর্তী 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।